বিশেষ প্রতিবেদক:
জেলা স্বেচ্ছাসেবদলের বর্ধিত সভা ও ইফতার মাহফিলে অংশ নেওয়া তৃণমূল সংগঠন হিসেবে পরিচিত উপজেলার প্রায় নেতৃবৃন্দ মূল বিএনপিকে অসহযোগিতার অভিযোগ করে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু জেলার সহ-সভাপতি আতা উল্লাহ বোখারী তার বক্তব্যে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক নিজের ভাইকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র মহেশখালী উপজেলা বি.এনপি’র সভাপতি এডভোকেট নুরুল আলমের নাম উল্লেখে দায়ী করে বক্তব্য দিলে ফোরামে উপস্থিত অনেকের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বর্ধিত সভার সাংগঠনিক রিপোর্টে ঈদগাঁহ সাংগঠনিক উপজেলার সভাপতি বিভিন্ন সময়ে সংগঠনের অভিভাবক মূল বিএনপিকে অসযোগিতার অভিযোগ তুলে বক্তব্যে সমাধানের জন্য জেলা সভাপতিকে বিনীত অনুরোধ করেন। অপর দিকে সবচেয়ে বেশী অভিযোগ উখিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি আবদুল হামিদ মানিকের। তার রিপোর্টে তিনি অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে বলেন, আমরা মূলদল অভিভাবক বিএনপি থেকে সহযোগিতা পাই না। কমিটি করতে গেলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা স্থান নিতে চায়। আমি স্বেচ্ছাসেবকদলের ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গোছালে সেখানে বিভিন্ন ভাবে সক্রিয় কর্মীদের অপকৌশলে যুবদল, ছাত্রদলে নিয়ে যায়।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, এভাবে আমরা আর সংগঠন করতে পারব না। যদি এমন অবস্থা থাকে তাহলে স্বেচ্ছাসেবক দল বা রাজনীতি করব না তবুও অন্যায় মেনে নিব না। প্রয়োজনে একজন সমর্থক হিসেবেই ভোট দিব।
৮জুন বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের বর্ধিত সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে ১ম অধিবেশনে সাংগঠনিক রিপোর্টে মহেশখালী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আজিজুল হক সিকদার তার রিপোর্টে কোন ধরণের অভিযোগ না তুলে ২টি ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটি ছাড়া বাকি সব পূর্নাঙ্গ কমিটি আছে জেলা নেতৃবৃন্দ চাইলে সম্মেলন করতে পারেন। জেলা সেক্রেটারীর এক প্রশ্নে আহবায়ক কমিটির ৩১ সদস্যের মধ্যে ২২/২৩জন সক্রিয় আছে উল্লেখ করে এবং প্রতিকূল বাস্তবতায় কিছু সময় দিতে না পারায় তিনি রিপোর্টে ক্ষমাও চান।

অনুরূপভাবে পৌর স্বেচ্ছাসেবকদল আহবায়ক প্রভাষক শাহেদ খান সব ওয়ার্ড পূর্নাঙ্গ করে জেলায় জমা দেওয়া হয়েছে তবে মহেশখালী পৌরসভার মূল বিএনপি’র আওয়ামী-বিএনপি ভাই’র রাজনীতির প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে তেমন ভাল নেই তবুও মন্ত্রী সালাহ উদ্দিনের নির্দেশে মাঠে আছি এবং থাকব এমন প্রতিশ্রুতি রেখে রিপোর্ট শেষ করেন। চকরিয়া উপজেলার সভাপতি বিএনপির বা কারো প্রতি অভিযোগ না তুলে মোটামুটি সব কমিটি হয়েছে।

অপর দিকে পাশাপাশি উপজেলা একই সংসদীয় আসন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মন্ত্রী সালাহ উদ্দিনের উপজেলা পেকুয়ার প্রায় ৬৩টি ওয়ার্ড কমিটির মধ্যে ৫৪টি কমিটি শেষ আগামী দেড় মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূণাঙ্গ কমিটি হবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আহবায়ক আহসান উল্লাহ। তৃণমুলের রিপোর্টের উত্তরে জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি অধ্যাপক আজিজুর রহমানের পরামর্শ মুল সংগঠন হচ্ছে আমাদের বিএনপি তাকে পাশ কাটিয়ে কিছু করা যাবে না। তবে নিজের যে অধিকার আছে সে টাও আদায় করতে হবে যোগ্যতা দিয়ে আর সংগঠন হচ্ছে কারো ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। এই পদে যে কেই আসতে পারে।’
সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন টিটু পরামর্শ বক্তব্যে বলেন, অনেক শুনছি উখিয়া উপজেলা নিয়ে আর নয় এটার একটা সমাধান করতেই হবে।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবছার কামাল তার বক্তব্যে বলেন, এই স্বেচ্ছাসেবকদলের ভূমিকার উপহার স্বরূপ হাবিব উন খান সোহেল যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা দক্ষিনের সভাপতি হয়েছেন। সালাহ উদ্দিন ভাইয়ের নিদের্শেই এই সংগঠন আজ প্রতিষ্ঠিত তাহার নেতৃত্বেই থাকবে।

বিভিন্ন সূত্র মতে, কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের মত আন্দোলন সংগ্রামে বৃহত্তর ভূমিকা রেখে এবং ঐক্যবদ্ধ কর্মীবান্ধব রাজনীতি উপহার দিয়ে যাচ্ছে অধ্যাপক আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে। এটা অনেকেই প্রতিদ্বন্দ্বি ভাবছে। কিছু বিএনপি নেতা এই সংগঠনের উত্থান মানতে তাই বাধা। তৃণমূলের সবার প্রত্যাশা সকল বাধা পেরিয়ে রাজনীতির আদর্শ সালাহ উদ্দিন আহমদের নির্দেশে গন্তব্যে পৌঁছবে স্বেচ্ছাসেবকদল।